এবারও হলো না, এবারও পারলো না। জয়ের নানামাত্রিক সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে গেল বাংলাদেশ। আর সেইসব সম্ভাবনা হাতছাড়া হলো মুশফিক-মেহেদিদের সহজ ক্যাচ মিসের মহড়ায়। ক্রাইস্টচার্চের ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে এক ম্যাচ হারে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কঠিন সময়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ে বন্দরে পৌঁছে দিয়ে ম্যাচের নায়ক কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। এছাড়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ৭২ ও জিমি নিশাম ৩০ রান করেন।
২৭২ রানের লক্ষ্যটা নেহায়েত ঠুনকো ছিল কি! কিন্তু বিধি আবারও বাম। আবারও মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ মাটিতে ফেলার দুঃসহ স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন। এর পরপরই মেহেদি হাসানের ক্যাচ মিস। আর তাতে তরে ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’- ক্রিকেটের এই পুরোনো প্রবাদটিও আরও একবার সামনে এলো।
২৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৩ রানে মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস ও উইলি ইয়ংকে হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে কিউইরা। মোস্তাফিজের গাপটিলকে ফেরানোর পর উপর্যুপরি নিকোলস ও ইয়ংকে তুলে নেন তরুণ অফ স্পিনার মেহেদি হাসান। ঘূর্ণি বলে বাংলাদেশকে যে আশা জাগিয়েছিল মেহেদি, তার হাতেই সেই আশার বড় যবনিকাপাত হলো শতক হাঁকানো টিম লাথামের সহজ ক্যাচ মিসের মধ্য দিয়ে। অথচ এই ক্যাচটি তালুতে জমাতে পারলে ফিফটি করেই ফিরে যেতে হতো লাথামকে।
আর মুশফিক তো মূলেই হতাশ করেছেন। ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে শত রানের জুটি গড়ে টেনে তোলা কনওয়েকে দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট করে ফিরিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম। তখন কিউইদের সংগ্রহ ৩৩.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান। ঠিক সেই সময় তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেন নতুন ব্যাটসম্যান জিমি নিশাম। আর সেই সহজ ক্যাচ ফেলে বাংলাদেশকেই মাটিতে নামান মুশফিক।
এরপর ৩০ রান করা নিশামকে মোস্তাফিজ যতক্ষণে ফিরিয়েছেন ততক্ষণে ম্যাচ থেকে অনেক দূর ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন ১১০ রানে অপরাজিত থাকা টম লাথাম।
আর তাতে করে প্রথম ইনিংসে তামিমের দায়িত্বশীল ৭৮ রানের ইনিংসটির পাশাপাশি মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড় তোলা ৭৩ রানের ইনিংসটিও হতাশার কালো মেঘে ঢাকা পড়লো। ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে হতাশার ক্ষতে প্রলেপ পড়বে কিনা- এখন সেটিরই অপেক্ষা কেবল।